সুলতা,শুধু তোমার জন্য !

  • 9.4k
  • 1.8k

কবি শফিকুল ইসলামের কবিতায় তার কাব্য প্রেয়সী সুলতার যে নান্দনিক ও শৈল্পিক সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় তা সামগ্রিক ও কাব্যময়। কবি জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেনের মতো কোন খন্ড চিত্রকল্প নহে। বর্ণনা এখানে সফল, কাব্যময় এবং জীবন্ত। জীবনানন্দ দাস বনলতা সেনের মুখশ্রী ও চুলে কাব্য সৌন্দর্য্য খোঁজে ফিরেছেন। যা নিতান্তই খন্ড চিত্র। জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেনে সে রকম কোন জোরালো বর্ণনা আমরা খোঁজে পাই না। জীবনানন্দ দাস বনলতা সেনের মুখে দেখেছেন শ্রাবস্তীর কারুকার্য যা কাল্পনিক ও অনেকটাই পুরনো। অন্যপক্ষে কবি শফিকুল ইসলাম সুলতার মুখে এমন এক জ্যোতি দেখেছেন যা প্রাণের কাছাকাছি, ভালবাসা মাখা ও কালোত্তীর্ণ। সে জন্যেই সে জ্যোতির অনুপস্থিতিতে কবি হয়েছেন আর্ত, বিমর্ষ ও ক্লান্ত। জীবনানন্দ দাস বনলতা সেনের মুখশ্রী দেখে ক্ষণিকের জন্য আমোদিত হলেও তা ছিল নিতান্তই ক্ষণিকের ভালবাসা। কবি শফিকুল ইসলামের কাব্য প্রেয়সী সুলতা অনন্ত মাধুরীময়, অপরূপা ও কাব্য মাধুর্যমন্ডিত যা কখনই পূর্ণ হবার নয়, হয় না। কবির মনে সে চিরদিনই সুলতা, চির যৌবনা সুলতা, চিরকাব্যময় সুলতা, হৃদয়ের সুলতা, প্রাণের সুলতা ও স্বপ্নের সুলতা এক কথায় ভালবাসার সুলতা। যা কবির মনে চিরদিনই প্রেমের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে নিশিদিন। কাব্যপ্রেয়সী সুলতা অপরূপা এক নারী মূর্তির রূপক যা কবিকে সারাক্ষণ অনুপ্রেরণা দেয় কর্মে, বিজয়ে ও চিন্তায়। কবি শফিকুল ইসলামের কাব্য-প্রেয়সী সুলতা এমনই এক সফল নারী যা কবির জীবনে সকল সময়ের স্বপ্ন, অহোরাত্রির আনন্দ ও জীবনভর প্রশান্তির ছোঁয়া। যাকে হারালে যেন কবির সব কিছুই হারিয়ে যাবে এমনকি বাঁচার আকুতি ও। এখানে সুলতা চরিত্রের কাব্যিক সফলতা।