পেইন্টার

(0)
  • 5.5k
  • 1
  • 2.5k

–“ নেন তিনশো টাকা হইসে। ” –“ পেইন্টিং আমার পছন্দ হয়নি। রেখে দাও ওটা। ” –“ কিন্তু আপনার জন্যিই তো আঁকলাম। টাকাটা দেন। ” –“ বললাম তো পছন্দ হয়নি। যতসব! ” বলেই লোকটা বেরিয়ে যায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে নিমাইবাবু। অপ্রত্যাশিত এক ঝটকা লেগেছে তার। শ্যামবাজার মোড়ে পেতলের দোকানের সামনে বসে নিমাই। পাড়ার লোকে ওকে নিমাইদা বলেই ডাকে। ওর আঁকার হাত এত সুন্দর যে, কোনটা আঁকা আর কোনটা আসল – মানুষ হামেশাই গুলিয়ে ফেলে। সরঞ্জাম বেশি কিছু না। কয়েকটা প্যালেট, জল রং, ব্রাশ, কালার ডাস্ট আর ক্যানভাস। এই কটা জিনিস দিয়েই সে এমন এমন পেইন্টিং তৈরি করে, যে দেখলেই তাক লেগে যায়। কারোর পকেটে বেশি পয়সা থাকলে সেও নিমাইয়ের থেকে পেইন্টিং বানিয়ে নিয়ে যায়। তবে নিমাইয়ের অবস্থা যে খুব ভালো তা কিন্তু নয়। গত বছর তার বাবা গত হয়েছে আর গত মাসে তার মা। আপনজন বলতে দুই কূলে কেউ ছিল না। কুড়ি বছরের বেকার নিমাই তাই রাস্তায় বসে পেইন্টিং বানায়। পেট তো চালাতে হবে…

1

পেইন্টার - পর্ব 1

Story of a skilled street painter. One day a very strange men came and refused to give him the Why? and What will happen next? ...Read More

2

পেইন্টার - পর্ব 2

নিমাই ফিরে আসে। এত সুন্দর একটা পেইন্টিং বিক্রি হলো না তার। –“ নিমাইদা মন খারাপ কোরো না। এটা তুমি রাখো। কারোর না কারোর পছন্দ তো হবেই, সে মোটা টাকা দিয়ে নিয়ে যাবে। ”নিমাই তাই করে। কিন্তু তার মন ভালো লাগছিল না। ব্রাউন কোট পড়া লোকটা এমন ভাবে নির্দেশ দিচ্ছিল যেন মনে হচ্ছিল তিনি ভীষণ বড় আর্টিস্ট। তিনি যেভাবে বলেছিলেন নিমাই সেইভাবে এঁকেছিল, তবুও লোকটার পছন্দ হলো না? সেই দিন নিমাইয়ের ৬০০ টাকা ইনকাম হয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে এসেও সে খুশি থাকতে পারছিল না। ওই ব্রাউন কোটের সাথে যদি আরেকবার দেখা হতো…পরদিন যথাসময়ে নিমাই নিজের জায়গায় বসে। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর ...Read More