In The Dark Of Illusion book and story is written by Utopian Mirror in Bengali . This story is getting good reader response on Matrubharti app and web since it is published free to read for all readers online. In The Dark Of Illusion is also popular in Horror Stories in Bengali and it is receiving from online readers very fast. Signup now to get access to this story.
অবচেতনার অন্ধকারে - Novels
by Utopian Mirror
in
Bengali Horror Stories
- এসো, কাছে এসো| লুসি চোখ তুলে তাকালো | টানা টানা দুটি চোখে অনন্ত জিজ্ঞাসা | সে পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলো | অদূরে দাঁড়িয়ে আছে এক রমনি মূর্তি, কালো বোরখা ঢাকা দেহ তার, মাথায় একরাশ সোনালী চুলের বন্যা | লুসি যেন আচ্ছন্নের মতো হেঁটে চলেছে | ঘরের মাঝখানে কাঠের দীপাধারে জ্বলছে একটি মাত্র প্রদীপ | চারপাশে ছড়ানো আছে মৃত মানুষের অস্থি মজ্জা হাড়। পচা দুর্গন্ধ ভরে রেখেছে বাতাসকে। বাতাস বলতে খর তাপ ভরা রুক্ষতার হাওয়া। এই মরুভূমির দেশে এক বিন্দু বৃষ্টি নেই। এখানে শুধুই উন্মত্ত প্রখর সূর্যের হাহাকার। লুসি ছায়া মূর্তির ঠিক সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো। তারপর চোখ বন্ধ করলো।
- এসো, কাছে এসো| লুসি চোখ তুলে তাকালো | টানা টানা দুটি চোখে অনন্ত জিজ্ঞাসা | সে পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলো | অদূরে দাঁড়িয়ে আছে এক রমনি মূর্তি, কালো বোরখা ঢাকা দেহ তার, মাথায় একরাশ সোনালী চুলের বন্যা | ...Read Moreযেন আচ্ছন্নের মতো হেঁটে চলেছে | ঘরের মাঝখানে কাঠের দীপাধারে জ্বলছে একটি মাত্র প্রদীপ | চারপাশে ছড়ানো আছে মৃত মানুষের অস্থি মজ্জা হাড়। পচা দুর্গন্ধ ভরে রেখেছে বাতাসকে। বাতাস বলতে খর তাপ ভরা রুক্ষতার হাওয়া। এই মরুভূমির দেশে এক বিন্দু বৃষ্টি নেই। এখানে শুধুই উন্মত্ত প্রখর সূর্যের হাহাকার। লুসি ছায়া মূর্তির ঠিক সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো। তারপর চোখ বন্ধ করলো।
ভীষণ চেষ্টা পেতো লুসির। অন্যের আত্মা যখন তার শীর্ণ দেহ খাঁচা ছেড়ে চলে যেত মহাকালের আকাশে, লুসির সমস্ত শরীর কি এক অনুভূতিতে থর থর করে কেঁপে কেঁপে উঠতো। জন্ম জন্মান্তরের সঞ্চিত পিপাসা যেন গ্রাস করতো তার জিভ, চোখ দুটি ...Read Moreবেরিয়ে আসবে, হাত বেঁকে যাচ্ছে, মাথায় ভীষণ যন্ত্রনা। কোষে কোষান্তরে সংবাহিত অনন্ত বেদনা। এক একটা ঘটনার পরে লুসি ভাবতো আর বাঁচবে না। তবু সে বেঁচে রইলো। সেদিনের চার বছরের ছোট্ট মেয়ে লুসি আজ চোদ্দ বছরের কিশোরী। প্রাকৃতিক নিয়মে তার দেহে যৌবন এঁকেছে পদচিহ্ন। কিন্তু লুসি সে ডাকে সাড়া দিতে পারেনি। এই রোমাঞ্চিত বয়েসে সে ভালোবাসে না বসন্ত বাতাস। তার কানে
ঐ রাত যেন পরম কাঙ্খিত হয়ে নেমে এসেছিলো আগাথার জীবনে। আজ তার বিয়ের প্রথম বছরে আগাথার বারবার মনে পড়েছে ঐ রাতের কথা। সে রাত তাকে গরবিনী করেছিল। তারপর কতবার সে শরীরের চাবি তুলে দিয়েছে দস্যু জোসেফকে। পলের কাছ থেকে ...Read Moreসরে গাছে সে। সোনালী সকালটা ফুরিয়ে গিয়ে নেমে এলো রাত। উৎসব শেষে বেডরুমে প্রবেশ করলো আগাথা। পল তার প্রতীক্ষাতে বসে আছে সিগার ঠোঁটে। কিন্তু আগাথার দাউ দাউ বহ্নিকে সে কি সীমিত ক্ষমতায় মেটাতে পারবে? আগাথা জানে এই প্রাসাদে সারাটি জীবন তার কাটবে এক দেহ খুদা নিয়ে। সে মুহূর্তে জ্বলে ওঠে, গোবলেটে রক্ত রঙা মদিরা। হাসলো আগাথা। তার দুটি ভরাট স্তনের
মনে পড়ে যায়, লুসি যেন হারিয়ে গেছে মধ্যে ইরাকের উত্তপ্ত বালুকা ভরা বিশীর্ণ নাগরী হাজাতে। সেখানে এক প্রকোষ্ঠে অন্ধকারের মধ্যে জঞ্জালের আবরণ সরিয়ে বাস করে নগরের অন্যতম রূপবতী সেইবা। জেক ঘিরে বাতাসে ওঠে ষড়যন্ত্রের ফিসফাস, যার নিশ্বাসে সারা রাত ...Read Moreচিৎকার। সেই সাইবাই আজকের চোদ্দ বছরের অপাপবিদ্ধ কিশোরী কোননা লুসি। - মনে কর লুসি, তারও আগের জন্মের কথা ........। এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে লুসির যেন মনে হলো প্রজ্জ্বলিত শিখার মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। স্বৈরিণী রমণীর এলোকেশের মতো ধেয়ে আসছে বহ্নিশিখা। আর এক মূহুর্ত মাত্র। তারপরে লোল জিহ্বা দিয়ে ঐ আগুন গ্রাস করবে তার কোমল তনু বাহার। কবরে সমবেত হাজার
চোখ খুলে লুসি দেখলো ঘরে জ্বলছে সেই স্বপ্নময় নীল আলো। সে তাকাল, চোখের সামনে ছায়ার মতো সরে যায় দুটি দৃশ্য, একটিতে যে উদ্দাম অভিসারে মত্ত, হাতে তার সুরা পাত্র, সুরমা টানা চোখের কোন যৌবনের সহস্র সঙ্গী করে। অন্য ছবিটি ...Read Moreদেহ পিপাসু বুভুক্ষু রমণীর, যে প্রতিরাতে নিজেকে নিবেদিত করে এক কিশোরের কাছে। - না, না, বিশ্বাস কর, এ জীবনে আমি সেইবা অথবা আগাথা হতে চাই না। আমি পবিত্র ভাবে বাঁচতে চাই। দেখতে চাই বসন্তকে। উপভোগ করতে চাই দূর আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া স্কাইলার্কের কাকলি। আত্মার গভীরে প্রোথিত চেতনার মধ্যে আলোড়িত এক বাঙময় সত্তা লুসিকে বার বার মনে করায়, সে ব্যাভিচারিনী