The House of Devil Sprite - 5 books and stories free download online pdf in Bengali

দ্যা হাউস অফ ডেভিল স্পিরিট - 5

রুমাল দিয়ে ঘাম পুঁছতে-পুঁছতে নিতিন বললো , ওই গেস্ট হাউস ছেড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য কোথাও চলে যান | ওই গেস্ট হাউসটা কোনো সাধারণ মানুষের থাকার জন্য একেবারে উপযুক্ত নয় | ওটা একটা শয়তানের ঘর | এর আগে ওই বাড়িতে আপনার মতো যারা থাকতে এসেছিলো তাদের খোঁজ কোনো দিনও কেউ পায়নি |

অভিরূপ নিতিনের কথা শুনে একটু হেসে ফেলল |
তারপর বললো তুমি এইসব কি বলছ ? শয়তানের ঘর ........ ওই বাড়িতে যারা থাকতে আসে তাদের খোঁজ কোনো দিনও পাওয়া যায় না .... |

নিতিন বললো , না স্যার .... বিশ্বাস করুন , এটা কোনো মিথ্যা কথা নয় | পৃথিবীতে এমন কিছু জিনিস আছে যা আমার বা আপনার পক্ষে ধরা ছোওয়ার বাইরে | যার কোনো যুক্তি বা ব্যাখা দেওয়া কারোর পক্ষে সম্ভব নয় |

ওই গেস্ট হাউস এর একটা ভয়ানক ইতিহাস আছে |

১৯৭৫ সালে একজন বাঙালি অধ্যাপক ওই গেস্ট হাউসটা বানিয়েছিলেন | উনি অধ্যাপকের পাশাপাশি একজন লেখক ছিলেন | উনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বই লিখতেন | তখনকার সময়ে ওনার লেখা বই সবাই খুব পছন্দ করতো |

একবার উনি ভারতের প্রাচীন তন্ত্রবিদ্যার উপর রিসার্চ করছিলেন | রিসার্চ করার জন্য উনি লাইব্রেরি থেকে একটি বই এনেছিলেন | কিন্তু সেই বইয়ের ভাষা ওনার বোধগম্য না হওয়ার কারণে উনি এখানকার একজন স্থানীয় মেয়েকে যে ওই ভাষা জানে তাকে সেই বইয়ের ভাষা অনুবাদ করার জন্য রেখেছিলেন |

একদিন বইটাকে উল্টে-পাল্টে দেখতে দেখতে অধ্যাপকের নজরে একটি ছয় লাইনের কবিতা চোখে পড়ল | ওই কবিতাটি অধ্যাপক এর দৃষ্টি এমন ভাবে আকর্ষণ করল যেন মনে হলো অধ্যাপককে কেউ সম্মোহন করেছে | অধ্যাপক মেয়েটাকে ততক্ষনাত ওই কবিতাটি অনুবাদ করার জন্য নির্দেশ দিলেন |

কবিতাটি পড়ার পরের দিন থেকেই অধ্যাপক অজানা রোগে আক্রান্ত হলেন | অধ্যাপক অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখান কিন্তু কোন ডাক্তারই রোগ ভালো করতে পারেনি । ধীরে ধীরে অধ্যাপক শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন | ওনার শরীর ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে যায় | তারপর ছয়দিন পর অধ্যাপক মারা যান |

মারা যাবার আগে অধ্যাপক ওই মেয়েটা বলে যায় , ওটা কোনো সাধারণ কবিতা নয় | ওটা মৃত্যুর দূত কে জাগানোর মন্ত্র | ওই মন্ত্রটা যেই পরবে তার মৃত্যু অবধারিত | উনি আরও বলেন ওই বইটা আর ওই কাগজ টা যাতে ওই মন্ত্রটা অনুবাদ করে লেখা হয়ছে সেই কাগজ টা পুড়িয়ে দেবার জন্য বলেন |

ওই মেয়েটা অধ্যাপকের কোনো কথাই শোনেনি | তারপর থেকে শুরু হয় পৈশাচিক কান্ড | ওই মেয়েটা সেই অশুভ শক্তি সেই মৃত্যুর দূতকে জাগানোর জন্য গ্রামের অনেক ছোটো-ছোটো ছেলেকে বলি দেয় | এখানকার গ্রামের লোকেরা যখন ওই মেয়েটার পৈশাচিক কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারে তখন রাগে গ্রামের সমস্ত লোক মিলে মেয়েটাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে | কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিলো | সেই অশুভ শক্তি , সেই মৃত্যুর দূত তখন জেগে উঠছিলো |

তারপর ধীরে ধীরে গ্রামের লোকজন এক অজানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে শুরু করল | দেখতে দেখতে গ্রাম প্রায় জনশূন্য হয়ে গেল | এইসব দেখে এই গ্রামের জমিদার একজন তন্ত্রসিদ্ধ সাধুকে এই গ্রামে আমন্ত্রণ জানান | গ্রামের সীমানায় পা দিতেই সেই সাধু বুঝতে পারেন এই গ্রামের উপর এক অশুভ শক্তি বিরাজ করছে | সেই সাধু এই কথাটা জমিদারকে বলেন |

তারপর একদিন আমাবস্যার রাতে শুরু হয় প্রচন্ড যাজ্ঞ যজ্ঞ | সেই সাধুটা ওনার সমস্ত শক্তি একত্রিত করে সেই অশুভ শক্তিকে নিজের বশীভূত করলেন এবং উনি জমিদারকে নির্দেশ দিলেন ওই কবিতাটি যেন কেউ না পড়ে | যদি কেউ পুনরায় কবিতাটি পড়ে তাহলে আবার মৃতের দূত জেগে উঠবে | উনি আরও বলেন সেই অশুভ শক্তি প্রচন্ড শক্তিশালী হওয়ায় আমি ওর প্রভাব থেকে শুধু এই গ্রামটাকে বাঁচাতে পেরেছি কিন্তু ওই বাড়িটার উপর ওর প্রভাব চিরকালই থেকে যাবে |