The Husband's Rights - 2 in Bengali Love Stories by Saikat Mukherjee books and stories PDF | স্বামীর অধিকার - 2

Featured Books
Categories
Share

স্বামীর অধিকার - 2

রিমি - কি হলো রিমি রিমি করা ছাড়া কি আপনার আর কোন কাজ নেই।
আমি - এটা কি দিলে!
চা নাকি লবণের শরবত?
রিমি - মানে........

আমি - চায়ে চিনির বদলে লবণ কেন
রিমি দাঁত কেলিয়ে ইসসসসসস.....

আমি - যাও আরেক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আসো!
রিমি - পারবনা।
আমি - কি আমার মুখের উপর কথা আজ তোমাকে আমি........
রিমি - হুমমমমম কি করবেন আমাকে বলুন।

আমি - কত ভাবিকে দেখলাম স্বামীর জন্য যখন চা বানায় তখন আগে সে খেয়ে দেখে চা'টা তার মনের মত হলো কিনা আর তুমি..........

রিমি - আমি তেমন মেয়ে নয় তেমন বউও নয়
আর আপনিও আমার সেরকম বর নয়
হঠাৎ করে আবার রিমি গরম হয়ে গেলো
যা দিয়েছি তাই খান আপনার মত মানুষের জন্য এটাই অনেক বেশি।
আমি - বলি এভাবে হবেনা শুধু এই সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বামীর ঘর করা যায়না।
রিমি হা হা হা করে হাঁসতে হাসতে বলতে লাগলো!
রিমি - স্বামী কিসের স্বামী কার স্বামী আপনিতো আমার কাছে রাস্তার ঐ মানুষ গুলোর মত
যারা না ভালোবাসতে জানে আর না ভালোবাসার মূল্য বুঝে!
শুধু দেহ পেলে চলে।

আমি - এই শোন আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেনা যাও,
রিমি - আপনার মত মানুষের সাথে কথা বলতে যার ইচ্ছে হয়না তাকে কি জ্ঞান দিবো।
আমি - চুপ একদম চুপ কথা বলতে ইচ্ছে না হলেও সারাজীবন আমার পাশে কাটাতে হবে আর কোন উপায় নেই।

জলদি যাও চা বানিয়ে নিয়ে আসো।
রিমি - বললাম তো পারবনা দোকান থেকে খেয়ে আসেন!
আমি - ঠিক আছে আজকে ছেড়ে দিলাম কাল কিন্তু ছাড়বনা।
ওহহহহ হ্যাঁ তুমি খেয়েছো ?
রিমি - আমাকে নিয়ে কারও না ভাবলেও চলবে
আমি - পাখা গজিয়েছে না, তোমার পাখা আমি ভেঙ্গে খাচায় বন্ধী করে রাখবো।
রিমি - শোনেন আপনার এসব কথায় এখন আর আমি ভয় পাইনা কারন এখন আর যার কিছুই নেই তার আবার হারানোর ভয় কিসের।

মন চায় মেয়েটার দুগালে দুইটা দিয়ে দেই।
না বড় আদরের বউ কষ্ট দেয়া যাবেনা,
আমি - এই শোন আমি বাহিরে গেলাম ফিরতে দেরি হবে হয়তো তুমি খেয়ে নিও।
রিমি - আপনাকে কে বললো যে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো?
আমি - চুপ মেয়ে কোন কথা না যা বলছি তাই করবে।
বেরিয়ে পড়লাম আর বললাম
আমি - দরজাটা লাগিয়ে দিও।

রিমি যদি পালিয়ে যায় একটা তালা লাগিয়ে দিবো নাকি
আবার ভিতরে গেলাম!
রিমি - কি ব্যপার আবার কেন ফিরে আসলেন কোথায় না যাচ্ছেন বললেন?

আমি - আমি গেলেই তো তুমি বাঁচো তাইনা! যাবোনা কোথাও আজ সারাদিন বাড়িতে কাটাবো।
রিমি মুখ বাঁকা করে চলে গেলো
এই সুযোগে আমিও এদিক ওদিক তালা খুঁজতে লেগে গেলাম,
দূররররর শালার প্রয়োজনের সময় কিছুই পাইনা।
রিমি - এটাই তো খুঁজতেছেন তাইনা ধ্রুব সাহেব!
আমিতো পুরাই হাবলু মার্কা হয়ে গেলাম
খুঁজি আমি কিন্তু রিমি কি করে জানে আমি যে তালা খুঁজি?

তারপরও কথাটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেললাম
আমি - ঐ দেমাগী মাইয়্যা এত পড়ালেখা করে কি হলো যদি স্বামী........... না মানে অন্যকে সম্মান দিতে না জানো।
রিমি - শোনেন কোনরকম আজেবাজে কথা বলবেন না এই নিন তালা নয়তো আমি ভেগে যাবো!
আমি - আমি আপনাকে বলেছি কি যে আমার তালা চাই ?

রিমি - না বললেও জানি যে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারেনা সে আবার অন্যকে কি করে বিশ্বাস করবে?
দ্যাততততত এই মেয়ের সাথে কথায় পারবনা!
লাগবেনা আমার তালা আমি কোথাও যাবোনা।

রিমি - যাবেন কি করে আপনি গেলে আমাকে পাহারা দিবে কে?
আমি - এত চটাং চটাং কথা না বলে যাও চুলায় রান্না বসাও!
রিমি - পারবনা
আমি - না পারার কি আছে আর সব বউতো স্বামীর ঘরে এসে রান্না করে।
রিমি - সবাই সবার স্বামী পেয়েছে মনের মত কিন্তু আমি পেয়েছি একটা বাজে লোক কে যার সাথে কখনও আমার মনটা মিলবেনা।
রিমি - চোখে কালো চশমা পড়া থাকলে কাউকে ভালাবাসা যায়না
কাউকে ভালোবাসার মত মন কি তোমার আছে?
রিমি - চুপ একদম চুপ আর একটা কথাও বলবেন না।

আমি - কোন কথা শুনবনা যান রান্না বসান।
রিমি - সত্যি বলছি আমি পারিনা।
আমি - না পারলেও রাঁধতে হবে যান আমিও আসতেছি।
রিমি - মানে আপনি কি করবেন
আমি - তোমাকে রান্না শেখাবো
রিমি - হুহহহহহহ বলে চললো রান্না ঘরে
আমি শুয়ে আছি।

কিছুক্ষন পর রিমি এসে বললো
এইযে শুনছেন এইযে আপনাকে বলছি শুনছেন।
আমি - কি হলো এত চিৎকার করেন কেন বাড়িতে কি বাঘ পড়েছে নাকি ???

রিমি - বাঘ নয় পাতিলটা পুঁড়ে গেছে
আমি - পাতিল পুঁড়ে গেছে মানে
রিমি - আপনি আসবেন বলে এখানে শুয়ে আছেন কেন।
আমি - বউ থাকতে আমি কোন দুঃখে রান্না করবো শুনি!

রিমি - খেতে হলে করতে হবে
আমি - একটু দুষ্টুমি করে বললাম
আমার না খেলেও চলবে দুএকদিন লিপস্টিক খেয়ে বেঁচে থাকবো।

রিমি - কি বললেন?
আমি - কিছুনা চলুন
দুজনে রান্না করতে গেলাম
আহা জীবনে এত কান্না আমি আর কখনও কাঁদিনি!
দুচোখ দিয়ে বৃষ্টি নামতে শুরু করলো
যখন আমি পেঁয়াজ কাঁটা শুরু করলাম
কিন্তু রিমি দেখি অন্য মনস্ক হয়ে আছে বুঝতে পারছি মেয়েটা আমাকে কিছু করতে চায়।

চলবে....!!!