রিমি চুপ করে রইলো, তুমি বসো আমি খাবার আনছি। প্লেট দিলাম ভাত দিলাম
এবার নাও খাও! রিমি খেয়ে পানি পানি করে,
আমি - দিচ্ছি দিচ্ছি দাঁড়ান! এই নাও পানি খাও।
রিমি - দূরররর এটা কোন রান্না হলো এক্কেবারে বাজে।
আমি - এই শোন এটা কোন বাবুর্চির রান্না নয় একজন স্বামীর রান্না তাই চুপচাপ খেয়ে নাও,
রিমি - তাই বলে এত ঝাল আপনি জানেন না আমি ঝাল খেতে পারিনা।
আমি - কিভাবে জানবো তুমি নিজেইতো ঠিকমত রান্না জানোনা।
রিমি - আপনি কি এতদিন না খেয়ে ছিলেন?
আমি - আমি একদম নয় তবে পেট ভরে খেতে পারিনি।
রিমি - হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবেনা যে যেমন সে সবাইকে তেমন-ই মনে করে।
আমি - ওহহহহ আচ্ছা ভালো কথা সামনে তো তোমার জন্মদিন বলো কিভাবে পালন করলে তুমি খুশি হবে।
রিমি - হুহহহহহ আমার আবার জন্মদিন যে অনেক আগে মারা গেছে তার আবার জন্মদিন কিসের?
আমি - চুপ এরকম কথা আর কখনও বলবেনা, তুমি আমার বড় আদরের বউ আমি অনেক ধুমধাম করে তোমার জন্মদিন পালন করবো।
রিমি - না তার আর কোন প্রয়োজন নেই যদি আমার কথা না শুনেন তাহলে আমি সত্যি সত্যি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো নয়তো এই পৃথিবী ছেড়ে।
আমি - না না তার দরকার নেই তুমি যেভাবে বলবে আমি সেভাবে করবো
তবে হ্যাঁ তোমাকে আমি সেদিন খুব বড় একটা উপহার দিবো যা তুমি কখনও স্বপ্নেও দেখনি।
রিমি - থাক আমার কিছু দরকার নেই
আপনি খেয়েছেন,
আমি - না তোমাকে না খাইয়ে আমি কি করে খাই বলতো।
রিমি - হুমমম আর ভালোবাসা দেখাতে হবেনা খেয়ে নিন। বউ জামাই দুজনে খেতে লাগলাম যদিও রান্নাটা ভালো হয়নি
খাওয়া শেষ করে!
আমি - তুমি যাও আরাম করো আমি প্লেট গুলো ধুঁয়ে আসছি।
রিমি - আচ্ছা! রিমি খুব খুব আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো।
আমি - এই দাঁড়াও দাঁড়াও তুমি কি বলতো স্বামী থাকতে কেউ এত কষ্ট করে।
রিমি - মানে? আমি তোমার বলে রিমিকে কোলে করে ঘরে দিয়ে আসলাম
তুমি ঘুমাও আমি সবকিছু গুছিয়ে আসতেছি। সবকিছু ধুঁয়ে মুছে গুঁছিয়ে এসে দেখি রিমি এখনও জেগে আছে।
আমি - কি হলো তুমি এখনও ঘুমাওনি।
রিমি - ঘুম না আসলে কি করবো!
আমি - ঘুম আসেনা মানে, তুমি চোখ বন্ধ করো আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। রিমি চোখ বন্ধ করলো আর আমি তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম
কখন যে রিমির সাথে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি
বিকালে আমার আগে রিমির ঘুম ভেঙ্গে যায়।
রিমি - শুনছেন এইযে শুনছেন
ঘুম ভেঙ্গে যায় রিমির ডাকে।
আমি - সরি বুঝতে পারিনি কখন যে চোখে ঘুম চলে আসলো কিছু লাগবে তোমার?
রিমি - না কিছুনা উঠলো।
আমি - কোথায় যাচ্ছো?
রিমি - সব কথা কি আপনাকে বলতে হবে বসে থাকুন এভাবে। আমি মনে মনে কি মেয়েরে বাবা যার জন্য এতকিছু করলাম সে বলে আমি চোর! আমি কি কখনও ওর মনে জায়গা করে নিতে পারবনা
কিন্তু কোথায় গেলো সে পালিয়ে যায়নি তো দূররর আমিও না সব উল্টাপাল্টা ভাবি।
রিমি - এই নিন, এক কাপ চা এগিয়ে দিয়ে।
আমি - আরে বাহ্ এই নাহলে বউ!
রিমি - বেশি বকবক করবেন না
মন চাইছে তাই বানিয়ে খাওয়ালাম
আমি - হুমমম বউয়ের হাতে চা না খেয়ে কি থাকতে পারি? চা টা খেয়ে।
আমি - শোন তুমি ঘরে থাকো আমি একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি
দরজাটা লাগিয়ে দাও।
রিমি - শোনেন
আমি - কি
রিমি - একটু তাড়াতাড়ি আসবেন একা একা ভয় করে
আমি - হুমমমম, দোকানে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে একটু দেরি হয়ে গেলো
বাসায় ফিরবো এমন সময় মনে হলো
পাগলীটার জন্য কিছু নিয়ে নেই!
কিছু চকলেট আর আইসক্রিম নিলাম
বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম।
রিমি - কে?
আমি - দরজা খোল আমি তোমার প্রাণের স্বামী। রিমি দরজা খুলে
রিমি - আপনি কি বলুনতো আপনার কি কোন আক্কেল জ্ঞান নেই বাসায় একটা মেয়েকে একা রেখে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারেন
আপনাকে মন চায় খুন করে ফেলতে
আমি - কি শুরু করলে এসব বাহির থেকে আসলাম কোথায় শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘামটা মুছে দিবে
আর তা না করে উল্টো আমার রক্ত ঝরাতে চাইছো।
রিমি - হুহহহহ কি আমার মহা পুরুষরে কি এমন বিশ্ব জয় করে আসলেন যার জন্য আমার শাড়ির আঁচল দিয়ে আপনার ঘাম মুছে দিতে হবে।
আমি - বিশ্ব জয় করা সহজ হলেও তোমার মন জয় করা অনেক কঠিন।
রিমি - বুঝেছেন তবে অনেক দেরিতে
আমি - এই নাও
রিমি - এগুলো কি ??
আমি - প্রশ্ন ছাড়া কি আর কিছুই জানোনা খুলে দেখ
রিমি - চকলেট আইসক্রিম এসব কার জন্য।
আমি - কেন তুমি জানোনা আমাদের ৪-৫টা ছেলেমেয়ে আছেনা তাদের জন্য।
রিমি - কি.......???
আমি - তার মুখের কাছে গিয়ে জ্বী......
---সমাপ্ত---
* পুরো গল্পটি পরে জানাবেন কমেন্ট করে কেমন লাগলো আপনাদের।
* পরবর্তীতে এরকম গল্প পেতে হলে আমাকে কমেন্ট করে জানান।
* ধন্যবাদ সবাই কে আমাকে এতটা সাপোর্ট করার জন্যে। আমি আপনাদের জন্য আরো নতুন কিছু আনতে চলেছি, সাথে থাকুন।